স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণ তখনই হয় যখন ব্রেনে রক্ত পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্রেন সেলগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। স্ট্রোক করলে সারা শরীরে তার প্রভাব পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার এন্ড স্ট্রোক’ এর তথ্য অনুযায়ী,স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে যদি আধ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা নেয়া যায় তাহলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পক্ষাঘাত অথবা মৃত্যু ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
অনেকসময় কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই হঠাৎ করেই স্ট্রোক আক্রমণ করে শরীরে। তবে ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগে কারো কারো শরীরে সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়।
১. হাসতে বা মুখ নাড়াতে কষ্ট হয়।
২. হাতে কোনো ধরনের শক্তি না পাওয়া বা দুর্বল লাগা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বিপদজনক সংকেত।
৩.কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে কষ্ট হওয়াও স্ট্রোকের সংকেত দেয়।
৪. এক চোখে বা দুই চোখে দেখতে কষ্ট হয়।
৫. হাঁটতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারলে সাবধান হওয়া উচিত।
৬. ঘন ঘন মাথা ঘোরানোও ষ্ট্রোকের লক্ষণ ।
৭. কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই প্রায়ই মাথা ব্যথা থাকলে সেটাও স্ট্রোকের বার্তা বহন করে।
স্ট্রোক একটি প্রাণঘাতী রোগ।যারা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বেঁচে থাকেন তাদের শরীরে নানাবিধ সমস্য দেখা দেয়। এর মধ্যে দুর্বলতা, পক্ষাঘাত, মনোযোগের ঘাটতি, স্মৃতি ভুলে যাওয়া,হতাশা, মাথা ঘোরা, দৃষ্টিশক্তি সমস্যা , আচরণ পরিবর্তন –এসব দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। তাই স্ট্রোক থেকে বাঁচতে বেশি করে শাকসবজি,বাদাম খান। লাল মাংসের পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ খান। এছাড়া লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি- এসব এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ব্যয়াম করুন,ধূমপান ও মদ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। সূত্র : ওয়েব এমডি, হেলথ লাইন